১. প্রথমেই খাবারের কথা বলতে হয়। খাদ্য তালিকায় প্রচুর মাছ রাখুন। বিশেষ করে ছোট মাছ চোখের জন্য অনেক উপকারী। এতে প্রচুর ওমেগা-৩ রয়েছে।
২. চোখের সমস্যা নিয়মিত হলে নিয়মিত বিশেষজ্ঞের কাছে চোখ দেখান। বিশেষ করে আপনার বয়স যদি ৪০ অথবা তার চেয়ে বেশী হয়ে থাকে তবে চোখ পরীক্ষা করান।
৩. মাঝে মাঝে চোখ পিটপিট করা চোখের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। নিয়মিত চোখ পরিষ্কার রাখুন। প্রতি তিন-চার সেকেন্ডে একবার চোখের পাতা বন্ধ ও খোলার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে চোখের ব্যায়াম হয় এবং চোখ সুস্থ থাকে।
৪. চোখকে আরাম দিন। যেমন দুই হাতের তালু ঘষে তাপ উৎপন্ন করে তা দুই চোখে ধরুন। এতে চোখ জ্বলা কমে যাবে এবং আরাম বোধ করবেন। প্রতিদিন এই কাজটি নিয়মত করুন।
৫. আমরা সাধারণত কাছের জিনিশে দৃষ্টি দিতে অভ্যস্ত। দূরে দৃষ্টি দিন। হাঁটতে বা বসে দূরে তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করুন। এতে আপনার চোখের ডিসট্যান্স ভিশন কোন পর্যায়ে আছে সেটা বুঝতে পারবেন।ম
৬. সূর্যের আলো চোখের ফ্রি চিকিৎসা দেয়। তবে প্রখর রোদ নয়। খুব সকালের এবং শেষ বিকেলের আলো চোখের যত্ন নেয়। সকাল বেলা নরম রোদে এবং বিকালের মসৃন রোদে সুর্যের দিকে তাকিয়ে থাকুন। চোখ ভালো থাকবে।
৭. অনেকে চোখে ঝাপসা দেখেন। পানির ঝাপটা নিয়ে এ থেকে মুক্তি মিলতে পারে। শুষ্ক অবস্থার কারণে সাধারণত এমনটা ঘটে। তবে চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যাওার কারনেও অনেকেই ঝাপসা দেখতে পারেন। তাই এরকম হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
৮. আর্দ্রতাবিহীন বাতাস থেকে চোখ দুটি দূরে রাখুন। শুকনো বাতাস চোখের বাষ্প শুষে নেয়। তাই এয়ারকন্ডিশনারের বাতাস থেকে চোখ আগলে রাখা উচিত।
৯. যেকোনো আঘাত ও ধুলোবালি থেকে চোখের নিরাপত্তা দিতে গগলস পরুন। গগলস পরা চোখের জন্য উপকারী। তবে লক্ষ্য রাখবেন ক্ষতিকারক কমদামি লেন্সের গগলস কিন্তু চোখের ক্ষতি করে।
১০. কম্পিউটার, স্মার্টফোন ও টেলিভিশনের উজ্জ্বলতা কমিয়ে রাখুন। কম্পিউটার ব্যবহার করার অন্য জিরো পাওয়ারের এন্টি রিফ্লেকশন লেন্স ব্যবহার করুন।
১১. নিয়মিত ডিম খেলে দেহে লুটেনের সরবরাহ ঘটে। এসব উপাদান চোখের দৃষ্টি তীক্ষ্ন করে। তবে আপনি যদি হৃদরোগের রোগী হয়ে থাকেন তবে ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
১২. সুযোগ পেলেই চোখে পানি দিন। মুখ ধোয়ার সময় চোখে বেশি বেশি পানি দিন। এতে চোখের ধুলো পরিষ্কার হবে। বাইরে থেকে এসে প্রতিদিন নিয়মিত এই কাজটি করুন।
১৩. ধূমপান চোখের জন্য ক্ষতিকর। তাই এটি ত্যাগ করুন। ধুমপান শুধু চোখের জন্য নয়, এটি সর্বরোগের উৎস। যত তারাতারি ধুমপান ত্যাগ করবেন, ততই মঙ্গল আপনার জন্য।
১৪. চোখে মেকআপ ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন। যদি নিয়েই থাকেন তবে যত দ্রুত সম্ভব ধুয়ে ফেলুন। তবে বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে, চোখে মেকআপ ব্যবহার করা চোখের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এটা ধীরে ধীরে পরিলক্ষিত হয়।
১৫. প্রচুর পালং শাক খান। এতে বহু ধরনের পুষ্টি উপাদান ও লুটেন রয়েছে। নানা সমস্যা দূর করবে পালং শাক। তবে পালংশাক ছাড়াও সব ধরনের সবুজ শাক এবং লাল শাক চোখের জন্য উপকারী।
১৬. কাজের ফাঁকে একটু বিরতি নিন। একটানা কম্পিউটারে অথবা স্মার্টফোনে বসে কাজ করলে চোখের রেটিনা দুর্বল হয়, এতে আপনার চোখ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাই কাজের ফাকে বিরতী দিয়ে দিয়ে কাজ করুন।
১৭. চোখ যখন কাজ করতে করতে ক্লান্ত, তখন একটু ম্যাসাজে উপকার মেলে। বিশেষ করে মাথায় হালকা ম্যাসাজ করলে ভালো বোধ করবেন।
১৮. ঘুমের অভাবে মাথা ও চোখে ব্যথা হয়। ঘুমালেই চোখ শান্তি পাবে। ঘুমের ঘাটতি পুরণ করুন। চোখকে সুস্থ রাখুন।
– ইন্ডিয়া টাইমস অবলম্বনে নাইন অপটিক ।